■ কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পরিবহন মালিক সমিতির দুই পক্ষ নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে। এক পক্ষ বর্তমান আহবায়ক কমিটি সাধারণ সভার মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে। অন্য পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান কমিটিকে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচনী উদ্যোগ বন্ধ করতে আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার তথ্য দিয়েছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আহবায়ক কমিটি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি বাদ দিয়ে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ঠিক রেখেছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান আহবায়ক হেলাল উদ্দিন মানিক।
জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শাহজাহান লস্করসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার রাতে শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি গতবছর ১৮ অক্টোবর হেলাল উদ্দিন মানিককে আহবায়ক ও আলমগীর মুরাদ রেজাকে সদস্যসচিব করে ৩ মাসের জন্য ২১ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেয়। কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত ১৫ জানুয়ারি। অথচ ওই কমিটির সদস্যসচিব আলমগীর মুরাদ রেজার স্বাক্ষরে নোটিশ দিয়ে আগামী ১৯ মার্চ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির অবৈধ সাধারণ সভা ও নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করে পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন আনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গত বুধবার একটি আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহণও করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা করে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিগত কমিটির আহবায়ক লেলিন রায়হান শাহীন, সদস্যসচিব শেখ ফরিদ আহমদ, আদালতে আবেদনকারী আনোয়ার হোসেন আনার প্রমুখ। সমিতিতে ৩৪২ জন সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক সদস্যসচিব শেখ ফরিদ আহমদ।
এদিকে বর্তমান আহবায়ক হেলাল উদ্দিন মানিক বলেছেন, আমরা প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের বিষয়ে সাধারণ সভা ডেকেছিলাম। যেহেতু আদালত নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, ফলে ১৯ মার্চ সাধারণ সভাটি হবে এবং সেখানে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না। এই মর্মে সদস্যদের কাছে সংশোধিত নোটিশও পাঠানো শুরু হয়েছে।
তবে পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।